Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ইতিহাস ও কার্যাবলি

 

পরিকল্পনা কমিশনের সৃষ্টি

 

প্রাপ্ত সম্পদের সবোর্ত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে সকল জনগণের দ্রুত জীবনযাত্রার মান উন্নয়নই হচ্ছে উন্নয়ন পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য। বাংলাদেশের সংবিধান (অনুচ্ছেদ-১৫) অনুযায়ী পরিকল্পিত উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের সকল অঞ্চলের সকল নাগরিকের দ্রুত জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন নিশ্চিত করা রাষ্ট্রীয় দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত। কার্যকরভাবে এ দায়িত্ব পালনের নিমিত্ত প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গঠনের উপর অগ্রাধিকার দিয়ে ৩১ জানুয়ারী ১৯৭২ সনে “বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন” প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৫৬ সালে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশ) “পরিকল্পনা বোর্ড” গঠনের মাধ্যমে উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপনের সূচনা হয়। ১৯৭১ সালে উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের জন্য পরিকল্পনা কোষ গঠন করে। স্বাধীনতা লাভের অব্যবহিত পরে পরিকল্পিত দ্রুত উন্নতি অর্জনের বিষয়টি ত্বরান্বিত করার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে প্রখ্যাত পরিকল্পনাবিদদের সমন্বয়ে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের পরিকল্পনা কমিশন গঠিত হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই একে দেয়া হয় উচ্চ পর্যায়ের পেশাদারী সংঘঠনের মর্যাদা। এই কমিশন গঠিত হয় একজন চেয়ারম্যান, একজন ডিপুটি চেয়াম্যান এবং তিন জন সদস্য সমন্বয়ে। পরিকল্পনা মন্ত্রী পদাধিকার বলে কমিশনের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। দৈনন্দিন কার্যাবলী পরিচালনার জন্য এবং নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য মন্ত্রীর পদ মর্যাদা সম্পন্ন একজন ডিপুটি চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন (তাঁর কেবিনেট মন্ত্রীর “র‍্যাংক” ছিল না)। কমিশনের অন্যান্য সদস্যগণ ছিলেন প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা সম্পন্ন। সচিব পদমর্যাদার “প্রধান” এর অধীনে মোট ১০টি বিভাগ সৃষ্টি করা হয়; বিভাগসমূহ হচ্ছে-সাধারণ অর্থনীতি, কার্যক্রম ও মূল্যায়ন, কৃষি, শিল্প, পানি সম্পদ, পল্লী প্রতিষ্ঠান, ভৌত অবকাঠামো, আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো, বহিঃসম্পদ এবং প্রশাসন। কমিশনকে সরাসরি সরকার প্রধানের নিয়ন্ত্রণে ন্যস্ত করেন।

পরিকল্পনা কমিশনের প্রকল্প বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণের কাজ সম্পন্ন করার জন্য পৃথকভাবে “প্রকল্প বাস্তবায়ন ব্যুরো” প্রতিষ্ঠা করা হয় যা পরবর্তীতে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আওতায় “বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ” নামে আলাদা বিভাগে রূপান্তরিত হয়। এর অব্যবহিত পরে বহিঃসম্পদ সংগ্রহের দায়িত্ব পরিকল্পনা কমিশন থেকে পৃথক করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বর্তমান “অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ” নামের পৃথক বিভাগের ওপর ন্যস্ত করা হয়। পরিকল্পনা কমিশনের সকল প্রশাসনিক ও নির্বাহী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য “পরিকল্পনা বিভাগ” প্রতিষ্ঠা করা হয়। একই সাথে বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন এর মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয়। 

সর্বপ্রথম ১৯৭৪ সালে বর্ণিত ৪টি পরিসংখ্যান সংস্থাকে একীভূত করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং ১৯৭৫ সালে পরিসংখ্যান ব্যুরোকে প্রশাসিনিক সহযোগিতা ও দিক নির্দেশনা প্রদানের জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আওতায় পরিসংখ্যান বিভাগ সৃষ্টি করা হয়। ২০০২ সালে পরিসংখ্যান বিভাগকে অবলুপ্ত করে পরিকল্পনা বিভাগের একটি অনুবিভাগ করা হয়। দেশের উন্নয়নে পরিসংখ্যানের গুরুত্ব বিবেচনায় ২০১০ সালে পরিসংখ্যান বিভাগ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়। উল্লেখ্য, একটি আন্তর্জাতিক মানসম্মত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি দৃষ্টি নন্দন সুপরিসর আধুনিক ভবন নির্মিত হয় এবং ২৫ অক্টোবর, ১৯৯৯ সালে  উক্ত ভবনটি উদ্বোধন করা হয়।

 

পরিকল্পনা বিভাগের কার্যপরিধি

পরিকল্পনা বিভাগ, বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)  এবং জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)-কে নিয়মিতভাবে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করে থাকে। এ দু’টি দায়িত্ব ছাড়াও পরিকল্পনা বিবাগের কার্যপরিধির মধ্যে নিম্নোক্ত দায়িত্বসমূহ অন্তর্ভুক্ত:

 

ক.

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও এজেন্সীর উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সমন্বয় সাধন;

খ.

একাধিক মন্ত্রণালয়/বিভাগ সংশ্লিষ্ট অর্থনৈতিক নীতির সমন্বয় সাধন;

গ.

নতুন শক্তি (Energy) সম্ভাবনার উপর জাতীয় ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে এবং শক্তি (Energy) সংশ্লিষ্ট সকল আন্তঃমন্ত্রণালয় বিষয়ে সমন্বয়কারীর ভূমিকা পালন;

ঘ.

জাতীয় এবং উপজেলা পর্যায়ে উন্নয়ন প্রকল্প তৈরী ও প্রক্রিয়াকরণে দিক নির্দেশনা প্রদান;

ঙ.

যে কোন সেক্টরে ব্যক্তি মালিকানধীন বিনিয়োগ এবং এ জাতীয় বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন;

চ.

আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে যোগাযোগ রক্ষা এবং পরিকল্পনা বিভাগ সংশ্লিষ্ট অন্যাণ্য দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে সম্পৃক্ত চুক্তি সম্পাদন;

ছ.

বিসিএস (ইকনমিক) ক্যাডারের নিয়ন্ত্রণকারী হিসেবে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন;

জ.

পরিকল্পনা কমিশনসহ পরিকল্পনা বিভাগের অধীনস্থ সংস্থা/দপ্তরসমূহের আর্থিক বিষয়াদি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় দায়িত্ব পালন;

ঝ.

পরিকল্পনা বিভাগের অধীনস্থ সংস্থা/দপ্তরসমূহের তথা বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস), সামাজিকবিজ্ঞান গবেষণা পরেষদ (এসএসআরসি) এবং পরিকল্পনা উন্নয়ন একাডেমী (এপিডি)’র প্রশাসন ও এর নিয়ন্ত্রণ;

ঞ.

পরিকল্পনা বিভাগ সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ে আইন-কানুন, বিধি-বিধান সম্পর্কিত বিষয়াদি;

ট.

পরিকল্পনা বিভাগ সংক্রান্ত যে কোন বিষয়ে তদন্ত সংক্রান্ত বিষয়াদি;

ঠ.

পরিকল্পনা বিভাগের উপর অর্পিত যে কোন কাজ সংক্রান্ত ফি প্রদান (কোর্ট ফি বাদে)।

 

 

পরিকল্পনা কমিশন

পরিকল্পনা কমিশনের আওতায় মোট ৬টি বিভাগ রয়েছে। বিভাগসমূহ হচ্ছে-সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ, কার্যক্রম বিভাগ, আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগ, কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগ, শিল্প ও শক্তি বিভাগ এবং ভৌত অবকাঠামো বিভাগ।

 

সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ

পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের আওতায় মাল্টি সেক্টরাল ইস্যুজ ও সমন্বয় অনুবিভাগ, দারিদ্র্য বিশ্লেষণ ও পরিবীক্ষণ অনুবিভাগ, সামষ্টিক ও প্রেক্ষিত পরিকল্পনা অনুবিভাগ, রাজস্ব ও মুদ্রানীতি অনুবিভাগ, আন্তর্জাতিক অর্থনীতি অনুবিভাগসহ মোট ৫টি অনুবিভাগ রয়েছে।

 

সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের কার্যপরিধি

১.

সরকারের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা যেমন: বাংলাদেশ ডেল্টা প্লান-২১০০, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন;

২.

সরকারের মধ্যমেয়াদি (পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা) পরিকল্পনা প্রণয়ন;

৩.

পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও প্রেক্ষিত পরিকল্পনার আলেকে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন পর্যালোচনা ও এতদসংক্রান্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন হালনাগাদকরণ এবং প্রতিবেদন প্রকাশ;

৪.

সার্ক সদস্য হিসাবে বাংলাদেশের দারিদ্র্য পরিস্থতির মূল্যায়ন ও প্রতিবেদন;

৫.

দারিদ্র্য এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ;

৬.

মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামো (এমটিবিএফ) প্রণয়নে অংশগ্রহণ;

৭.

জাতীয় দারিদ্র্য ফোকাল পয়েন্ট হেসেবে দেশের দারিদ্র্য পরিস্থিতির বিশ্লষণ;

৮.

জাতীয় সংসদের অধিবেশনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রীর প্রশ্ন-উত্তর প্রদানের জন্য উত্তর প্রস্তুতকরণ;

৯.

Foreign Direct Investment (FDI)- এর উপর অবস্থান পত্র (পজিশন পেপার) প্রণয়ন;

১০.

জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পিকার, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীএ পরিকল্পনা মন্ত্রী, মাননীয় অর্থমন্ত্রী ও মাননীয় অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এবং মাননীয় সংসদ সদস্যবৃন্দের দেশের অভ্যন্তরে ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সভা, সেমিনার, কনফারেন্সে আলোচনার সুবিধার জন্য অনুরোধক্রমে ব্রিফ/টকিং পয়েন্টস প্রস্তুতকরণ;

১১.

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগসমূহের অনুরোধক্রমে ব্রিফ/টকিং পয়েন্টস/অবস্থান পত্র (পজিশন পেপার) প্রস্তুতকরণ;

১২.

সামষ্টিক অর্থনীতির মূল্যায়ণ প্রতিবেদন প্রণয়ন;

১৩.

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ কর্তৃক প্রণীত বিধি-বিধান, নীতি, আইন ইত্যাদির উপর মতামত প্রণয়ন;

১৪.

পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা-এর আলোকে পিইসি/ডিপিইসি/এসপিইসি/ডিএসপিইসি সভায় উত্থাপিত প্রকল্প পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে  মতামত প্রণয়ন;

১৫.

পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা-এর আলোকে একনেক/এনইসি সভায় কার্যপত্রের উপর মতামত প্রণয়ন;

১৬.

Women in Development/Gender সম্পর্কিত কার্যাদির উপর মতামত প্রণয়ন;

১৭.

টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট এর বাস্তবায়ন ও পর্যালোচনার লক্ষ্যে মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি বিষয়ক), প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে আহ্বায়ক করে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটির সাচিবিক দায়িত্ব পালনকারী হিসেবে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ঠ-এর লক্ষ্যসমূহের মন্ত্রণালয়/বিভাগ ভিত্তিক কার্যসংশ্লিষ্টতা এবং কর্মপরিকল্পনা এর প্রাথমিক খসড়া প্রণয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা;

১৮.

সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ কর্তৃক গৃহীত প্রকল্প বাস্তবায়ন।

 

 

কার্যক্রম বিভাগ

পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগের আওতায় কৃষি, শিল্প ও শক্তি এবং সমন্বয় অনুবিভাগ, ভৌত অনুবিভাগ, আর্থ-সামাজিক অনুবিভাগ সহ মোট ৩টি অনুবিভাগ বিদ্যমান।

 

কার্যক্রম বিভাগের কার্যপরিধি

ক.

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আকার নির্ধারণ এবং খাতওয়ারী সম্পদ বণ্টন;

খ.

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি প্রণয়ন ও সংশোধন;

গ.

বার্ষিক কারিগরী সহায়তা কর্মসূচি প্রণয়ন ও সংশোধন;

ঘ.

সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে এডিপি বরাদ্দ অবমুক্তকরণের বিষয় বিশ্লেষণ এবং পরামর্শ প্রদান;

ঙ.

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন পর্যালোচনা;

চ.

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির জন্য বৈদেশিক সাহায্যের পরিমাণ নির্ধারণ;

ছ.

বাংলাদেশ উন্নয়ন সহযোগীদের জন্য সাহায্য উপযোগী প্রকল্পসমূহের তালিকা প্রস্তুতকরণ;

জ.

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি প্রস্তুতকরণ, সংশোধন এবং অর্থবরাদ্দ ও পুনঃঅর্থবরাদ্দ সংক্রান্ত বিষয়, আন্তঃমন্ত্রণালয় এবং পরিকল্পনা কমিশন এর মধ্যে সমন্বয় সাধন;

ঝ.

স্থানীয় সরকার উন্নয়নের জন্য গাইড লাইনস প্রস্তুতকরণ।

 

 

আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগ

পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগ (Socio-Economic Infrastructure Division) এর আওতায় স্বাস্থ্য, পরিবারকল্যাণ, শিক্ষা, ধর্ম, সমাজকল্যাণ, শিশু ও মহিলা, গণ-সংযোগ, যুব ক্রীড়া, সংস্কৃতি, জনপ্রশাসন, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, শ্রম ও কর্মসংস্থান অন্তর্ভূক্ত।

 

আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের কার্যপরিধি

ক.

সেক্টরের জন্য পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং এডিপিতে অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে প্রকল্প চিহ্নিত করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগকে সহায়তা প্রদান;

খ.

বিভিন্ন উপ-খাতের অগ্রাধিকার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ও কর্মকৌশল প্রণয়ন;

গ.

মন্ত্রণালয়/বিভাগ কর্তৃক প্রেরিত প্রকল্প সারপত্র বিশ্লেষণ করে প্রকল্পের বিভিন্ন অংগের ব্যয়ের যৌক্তিকতা নির্ণয় এবং প্রয়োজনে প্রকল্প সারপত্র সংশোধনের জন্য মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ প্রদান;

ঘ.

মন্ত্রণালয়/বিভাগ কর্তৃক প্রেরিত প্রকল্প সারপত্র নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন লাভের উদ্দেশ্যে কার্যাবলী সম্পাদন;

ঙ.

সময়ে সময়ে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন ও অর্জিত অগ্রগতি পরিবীক্ষণ;

চ.

উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ ছাড়ের প্রস্তাব প্রক্রিয়াকরণ;

ছ.

উন্নয়ন সহযোগী দেশ/সংস্থার অর্থায়ন প্রাপ্তির লক্ষ্যে প্রজেক্ট প্রোফাইল প্রণয়ন;

জ.

আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের ৫টি উইংয়ের জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর, এডিপিভুক্ত প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনা ও একনেক এর বিভিন্ন বিষয়ের সমন্বয় সাধন;

ঝ.

সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পের বাস্তবায়ন সমস্যাবলীর উপর আলোচনা ও সমাধানের পন্থা নির্ধারণ;

ঞ.

বৈদেশিক সাহায্য চুক্তি ও নেগোসিয়েশন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের স্টিয়ারিং কমিটিতে প্রতিনিধিত্বকরণ;

ট.

প্রাক-একনেক/আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় প্রকল্প বিবেচনার জন্য কার্যপত্র প্রণয়ন।

 

 

কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগ

কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগ (Agriculture, Water resource and Rural Infrastructure Division) তিনটি উন্নয়ন থাকে যথা-কৃষি, পানি সম্পদ এবং পল্লী উন্নয়ন ও প্রতিষ্ঠান-এর সমন্বয়ে গঠিত। এ বিভাগের আওতায় পল্লী প্রতিষ্ঠান ও সমন্বয় অনুবিভাগ, বন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অনুবিভাগ, ফসল অনুবিভাগ, খাদ্য ও সার মনিটরিং অনুবিভাগ সহ মোট ৫টি অনুবিভাগ বিদ্যমান। অত্র বিভাগের আওতায় প্রধানত কৃষি, পানি সম্পদ, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ, খাদ্য, পরিবেশ ও বন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় অন্তর্ভুক্ত। কৃষি খাত ছয়টি উপখাতে বিভক্ত, যথা-ফসল, খাদ্য মৎস্য, প্রাণি সম্পদ, বন ও সেচ।

 

কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের কার্যপরিধি

ক.

কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান খাতে অগ্রাধিকার, লক্ষ্যমাত্রা ও কর্মকৌশল নির্ণয়;

খ.

উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ পরীক্ষা-নিরীক্ষান্তে অনুমোদনের জন্য সুপারিশ প্রণয়ন;

গ.

এ সব খাতের প্রকল্পের জন্য বার্ষিক/সংশোধিত উন্নয়ন কর্মসূচি ও ত্রি-বার্ষিক আবর্তক কর্মসূচি প্রণয়ন;

ঘ.

দাতা/উন্নয়ন সহযোগীদের জন্য স্মারক ও সাহায্য উপযোগী প্রকল্প তালিকা প্রণয়ন;

ঙ.

বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উপর প্রণীত প্রতিবেদন ও অবস্থান পত্রের উপর মতামত প্রদান;

চ.

প্রাক-একনেক, আন্তঃমন্ত্রণালয় ও বিশেষ প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির  সভা অনুষ্ঠান ও সাচিবিক সহায়তা প্রদান।

 

 

শিল্প ও শক্তি বিভাগ

পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের (Industry and power Division) আওতায় শিল্প ও সমন্বয় অনুবিভাগ, বিদ্যুৎ অনুবিভাগ, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড ইলেক্ট্রনিকস অনুবিভাগ, পাট, বস্ত্র, ও বেপজা অনুবিভাগ এবং তৈল, গ্যাস ও প্রাকৃতিক গ্যাস অনুবিভাগ সহ মোট ৫টি অনুবিভাগ বিদ্যমান। অত্র বিভাগের আওতায় প্রধানত শিল্প, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় সমূহের উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ হয়ে থাকে।

 

শিল্প ও শক্তি বিভাগের কার্যপরিধি

ক.

শিল্প, বিদ্যুৎ, তৈল, গ্যাস ও প্রাকৃতিক সম্পদ খাতে অগ্রাধিকার, লক্ষ্যমাত্রা ও কর্মকৌশল নির্ণয়;

খ.

উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ পরীক্ষা-নিরীক্ষান্তে অনুমোদনের জন্য সুপারিশ প্রণয়ন;

গ.

এ সব খাতের প্রকল্পের জন্য বার্ষিক/সংশোধিত উন্নয়ন কর্মসূচি ও ত্রি-বার্ষিক আবর্তক কর্মসূচি প্রণয়ন;

ঘ.

সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ ও বেসরকারী বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে উন্নয়ন নীতিমালা পরিকল্পনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন;

ঙ.

এ সব খাতের উপ-খাতের তুলনামূলক সুবিধা চিহ্নিতকরণ;

চ.

দাতা/উন্নয়ন সহযোগীদের জন্য স্মারক ও সাহায্য উপযোগী প্রকল্প তালিকা প্রণয়ন;

ছ.

বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উপর প্রণীত প্রতিবেদন ও অবস্থান পত্রের উপর মতামত প্রদান;

জ.

প্রাক-একনেক, আন্তঃমন্ত্রণালয় ও বিশেষ প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির  সভা অনুষ্ঠান ও সাচিবিক সহায়তা প্রদান।

 

 

ভৌত অবকাঠামো বিভাগ

পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের আওতায় ২০টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের (গৃহায়ন ও গণপূর্ত, স্থানীয় সরকার, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক, ভূমি, বিসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন, স্বরাষ্ট্র, রেলপথ, সড়ক পরিবহন ও সেতু, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জনপ্রশাসন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ, নৌ পরিবহন, অর্থ, পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, অভ্যন্তরীণ সম্পদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক, বাংলাদশে কর্মকমিশন সচিবালয়, পরিকল্পনা) উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়ে থাকে।

 

ভৌত অবকাঠামো বিভাগের কার্যপরিধি

ক.

উপরে উল্লিখিত ২০টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের আনুষংগিক অবকাঠামো খাতের স্বল্প, মধ্যম পঞ্চবার্ষিক ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়ন;

খ.

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন সেল স্থাপন এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উন্নয়ন প্রকল্প প্রকল্পসমূহের অনুমোদন প্রক্রিয়াকরণ;

গ.

এডিপিভুক্ত প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ বিভিন্ন পর্যায়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষান্তে অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়াকরণ;

ঘ.

উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বার্ষিক ও সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ও ত্রি-বার্ষিক আবর্তক কর্মসূচি প্রণয়ন;

ঙ.

প্রাক-একনেক, আন্তঃমন্ত্রণালয় ও বিশেষ প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির  সভা অনুষ্ঠান ও সাচিবিক সহায়তা প্রদান;

চ.

অবকাঠামো উন্নয়নসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়াদির ব্যাপারে প্রয়োজনীয় গবেষণা পরিচালনা;

ছ.

ভৌত অবকাঠামো বিভাগের প্রকল্পসমূহের অগ্রাধিকার, লক্ষ্যমাত্রা ও কর্মকৌশল নির্ণয়;

জ.

বিভিন্ন দাতা/উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা কর্তৃক প্রণীত প্রকল্প দলিল এর উপর মতামত প্রদান;

ঝ.

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভার কার্যপত্র প্রণয়ন;

ঞ.

উন্নয়ন প্রকল্পের স্থানীয় সম্পদের সুষম বন্টন, উপযোজন ও অর্থ ছাড়করণের ব্যবস্থা গ্রহণ; এবং

ট.

কাউন্সিল কমিটিসহ মন্ত্রিপরিষদের ক্রয় সংক্রান্ত সভার কার্যপত্রের উপর মতামত প্রদানসহ জাতীয় ও মন্ত্রণালয়/বিভাগ পর্যায়ে বিভন্ন কমিটিতে সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ।